দক্ষিণ সুরমার নান অপকর্মের হোতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন রাসেলকে দেশবিরোধী সরযন্ত্র এবং রাষ্ট্রের বিরোদ্ধে নানা চক্রান্তের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। ঘটনাচক্রে জানা যায় আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি হাবিবের নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমাকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে গোপন একটি বৈঠকে ধরাধরপুর একটি বাড়িতে মিটিংয়ে যোগ দেন।
উল্লেখ্য যে, কামাল উদ্দিন রাসেলের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে হত্যাকান্ডের মামলা সহ বেশ কিছু মামলা দক্ষিণ সুরমা থানায় আছে।
২০২১ সালে কামাল উদ্দিন রাসেলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা ছিলো বলে জানা যায়। মামলার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার এক নারী বাউল শিল্পীকে প্রতারনা করে সিলেটে এনে আটকে রেখে টানা কয়েকদিন ধর্ষন করে কামাল উদ্দিন রাসেলের সহ যোগী দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপেুরের বাবুল । এ ঘটনায় ওই নারী শিল্পী ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা (নং- ৩১(৪)২১ করেন। মামলার আসামী বাবুল কামাল উদ্দিন রাসেলের সহযোগী ও তার নিজ গ্রামের। তাই আসামীর পক্ষে এ মামলার তদবী করতে গিয়ে কামাল উদ্দিন রাসেল ওই নারী শিল্পীর বিরুদ্ধে অশ্লীল অপপ্রচারে মেতে ওঠেন। এক নগ্ন নারীর ছবি এডিট করে তার মাথায় ঔই নারী শিল্পির মাথা বসিয়ে নিজ ফেইসবুক আইডিতে প্রচার করে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন ।
ঘটনাটি ফেইসবুকে দেথে ওই নারী শিল্পী চরম অপমানবোধ করেন এবং পরে তিনি সিলেট বিভাগ বাউল কল্যাণ সমিতির কথিত সভাপতি কামাল উদ্দিন রাসেল ও তার অজ্ঞাতনামা কয়েত সহযোগীকে আসামী করে ঔই বছরের ৪ আগষ্ট রাজধানী ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা {নং- ১৪ (৮)২১} করেন। ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের ৮(২) ধারায় দায়ের করা মামলায় অধিকাংশ সময় পলাতক ছিলেন। এগুলো ছাড়াও এর পরে অনেকগুলো মামলা হয় তার উপর।